4-ঘণ্টার চার্টে BTC/USD-এর ওয়েভ স্ট্রাকচার বেশ স্পষ্ট এবং সুসংগঠিত হিসেবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। ১৪ মার্চ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত একটি দীর্ঘ এবং জটিল কারেকটিভ প্যাটার্ন (a-b-c-d-e) সম্পন্ন হওয়ার পর, একটি নতুন ইমপালস ওয়েভ গঠন হতে শুরু হয়েছে, যা পাঁচ-ওয়েভের কাঠামো গ্রহণ করেছে। প্রথম ওয়েভের আকার বিবেচনায়, পঞ্চম ওয়েভটি সংক্ষিপ্ত হতে পারে, যার কারণে আমি আসন্ন মাসগুলোতে বিটকয়েনের মূল্যের $110,000–$115,000-এর ওপরে ওঠার সম্ভাবনা দেখছি না।

এছাড়া, ওয়েভ ৪ একটি তিন-ওয়েভ কাঠামো গ্রহণ করেছে, যা বর্তমান ওয়েভ কাউন্টের যথার্থতা নিশ্চিত করে। বিটকয়েনের মূল্যের পূর্ববর্তী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা মূলত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ, সরকারি বরাদ্দ এবং পেনশন ফান্ড ক্রয়ের ধারাবাহিক সংবাদের প্রভাবে হয়েছিল। তবে, ট্রাম্পের গৃহীত নীতিমালা বিনিয়োগকারীদের মার্কেট থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করেছে, এবং কোনো প্রবণতাই স্থায়ীভাবে বুলিশ থাকতে পারে না। ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ওয়েভটি একটি আদর্শ প্রথম ইমপালস ওয়েভের মতো দেখাচ্ছে না, যা নির্দেশ করে যে আমরা একটি জটিল কারেকটিভ কাঠামো দেখতে পাচ্ছি, যা কয়েক মাস স্থায়ী হতে পারে।

মাত্র এক দিনে BTC/USD-এর মূল্য $8,000 বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং এই আকস্মিক মূল্য বৃদ্ধির পেছনের কারণ খুঁজে পাওয়া কঠিন নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র একটি ক্রিপ্টো রিজার্ভ তৈরি করবে, যেখানে বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, সোলানা এবং XRP অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে, মার্কেটের ট্রেডাররা এ ব্যাপারে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন ছিল না যে কোন কোন ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলো এই রিজার্ভে অন্তর্ভুক্ত হবে, কারণ এটি বাস্তবে কার্যকর হবে কিনা তা এখনো অনিশ্চিত। এর পরিবর্তে, এই ঘোষণার ফলে পুরো মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ট্রাম্প আরও ঘোষণা করেন যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে "বিশ্বের ক্রিপ্টোকারেন্সির কেন্দ্রস্থল" বানানোর পরিকল্পনা করছেন, যা ট্রেডার ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন আশাবাদের সঞ্চার করেছে।

তবে, বর্তমান ওয়েভ স্ট্রাকচার এখনও কারেকশনের অংশ হিসেবে বিয়ারিশ প্রবণতা গঠনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই কারেকশনটি জটিল হতে পারে, অর্থাৎ $77,000 পর্যন্ত পতনই শেষ দরপতন নয়। আমি আগেও উল্লেখ করেছি যে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে ট্রাম্পের $90,000–$100,000 দামে বিটকয়েন কেনার সম্ভাবনা কম। ক্রিপ্টো মার্কেট সহজেই ম্যানিপুলেট করা যায়, এবং বিটকয়েনের মূল্য কয়েক হাজার ডলার কমিয়ে দেওয়া অসম্ভব কিছু নয়।

ফলে, ওয়েভ স্ট্রাকচারের সীমাবদ্ধতার কারণে আরও দরপতন অনিবার্য, এবং ট্রাম্পও মার্কিন ক্রিপ্টো রিজার্ভ তৈরির সুবিধার্থে বিটকয়েনের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর চেষ্টা করতে পারেন। আমার পূর্ববর্তী পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রয়েছে।

সার্বিক বিশ্লেষণ

BTC/USD-এর বিশ্লেষণের ভিত্তিতে, আমি এই উপসংহারে এসেছি যে বিটকয়েনের মূল্যের বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে। একটি জটিল কারেকশন অবশ্যম্ভাবী বলে মনে হচ্ছে। এই কারণে, আমি পূর্বে বিটকয়েন কেনার পরামর্শ দেইনি, এবং বর্তমানে আবারও সেই পরামর্শ দিচ্ছি না। ওয়েভ ৪-এর নিম্ন লেভেলের নিচে দরপতন নিশ্চিত করবে যে বিটকয়েনের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা শুরু হতে পারে, যা সম্ভবত একটি কারকশন হিসেবে বিবেচিত হবে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে, সবচেয়ে ভালো কৌশল হলো লোয়ার টাইমফ্রেমে শর্ট-সেলিংয়ের সুযোগ খুঁজে বের করা। বিটকয়েনের মূল্য আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে $76,000 (161.8% ফিবোনাচি) এবং সম্ভবত $68,000 (200.0% ফিবোনাচি) লেভেলে পৌঁছাতে পারে।

ওয়েভ বিশ্লেষণের হায়ার স্কেলে একটি পাঁচ-ওয়েভ বুলিশ কাঠামো স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। তবে, বর্তমানে মার্কেটে একটি বিয়ারিশ কারেকশন গঠিত হতে শুরু করেছে, যা হয়তো একটি কারেকটিভ ফেজ বা একটি পূর্ণাঙ্গ নিম্নমুখী প্রবণতার সূচনা হতে পারে।

আমার বিশ্লেষণের মূল নীতিগুলো:

1. ওয়েভ স্ট্রাকচার সহজবোধ্য এবং স্পষ্ট হওয়া উচিত। জটিল স্ট্রাকচার ট্রেডিং কঠিন করে তোলে এবং প্রায়শই সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়।
   
2. যদি মার্কেটের দিকনির্দেশনা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা থাকে, তাহলে ট্রেড থেকে বিরত থাকাই উচিত।
   
3. মার্কেটের মুভমেন্ট সম্পর্কে কখনোই 100% নিশ্চিত হওয়া যায় না। নিজের মূলধনের সুরক্ষার জন্য সবসময় স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন।
   
4. ওয়েভ বিশ্লেষণ অন্যান্য বিশ্লেষণ পদ্ধতি ও ট্রেডিং কৌশলের সাথে মিলিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।