ডোনাল্ড ট্রাম্পের উন্মুক্ত পরিকল্পনাগুলো আরও উচ্চাকাঙ্ক্ষী হচ্ছে! এখন, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট গ্রিনল্যান্ড কেনার নতুন প্রকল্পের দিকে নজর দিচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এটি হবে মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভূমি ক্রয়, এদিক দিয়ে ১৮০৩ সালে লুইসিয়ানা ক্রয় শীর্ষে রয়েছে, যা আমেরিকার আকার প্রায় দ্বিগুণে পরিণত করেছিল।
ট্রাম্প সম্প্রতি পেপ্যালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কেন হাওয়ারীকে ডেনমার্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত সম্ভাবনা ধূলিসাৎ করে দিয়েছেন, উল্লেখ্য যে ডেনমার্ক প্রায় ৩০০ বছর ধরে গ্রিনল্যান্ড নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। ট্রাম্প ঘোষণা করেন, "গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ 'সারা বিশ্বের জাতীয় নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতার জন্য অপরিহার্য।"
গ্রিনল্যান্ড যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যুক্ত হয়, তাহলে দেশটির ভূমির পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। এটি লুইসিয়ানা ক্রয় বা ১৮৪৫ সালে টেক্সাসের সংযুক্তির চেয়েও বড় একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হবে৷ ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চুক্তিটি অ্যান্ড্রু জনসনের ১৮৬৭ সালের ক্রয়কে মাইল দ্বারা ছাড়িয়ে যাবে৷
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ২০১৯ সালে প্রথম এই প্রস্তাবটি দিয়েছিলেন। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের শিপিং রুট এবং মূল রাডার ইনস্টলেশন বরাবর গ্রিনল্যান্ডের কৌশলগত অবস্থান তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে, ড্যানিশ এবং গ্রিনল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
পরবর্তীতে ২০২০ সালে, হোয়াইট হাউসের সহকারী এবং ট্রেজারি কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে। এমনকি তারা এই চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য তহবিলও পেয়েছিলেন। প্রাক্তন ট্রেজারি কর্মকর্তা টমাস ড্যানজের মতে, কাজ বেশ দ্রুত গতিতেই এগোচ্ছিল চলছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। আশা করি যে জো বাইডেনের প্রশাসনের প্রচেষ্টা ট্রাম্প প্রশাসন পুনরায় শুরু করবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূল বিষয়টি হচ্ছে গ্রিনল্যান্ডের জনগণকে এটি বোঝানো যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হওয়াই তাদের জন্য সর্বোত্তম পদক্ষেপ। এই মুহূর্তে, গ্রিনল্যান্ডের অর্থনীতি ডেনমার্ক থেকে বার্ষিক $৫০০ মিলিয়ন অনুদানের উপর অনেক বেশি নির্ভর করে। এটি সেখানকার জিডিপির ২০% এবং দেশের বাজেটের অর্ধেক।
ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে যে গ্রিনল্যান্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যোগদান করলে সেটি তাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পারে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করার জন্য সেখানে ভোটের আয়োজন এবং কোপেনহেগেনের পার্লামেন্টের অনুমোদনের অপেক্ষা ক্রয়া হচ্ছে।
যাইহোক, ট্রাম্পের এই স্বপ্ন বড় এক বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মুতে এগেদে জোর দিয়ে বলেছেন যে গ্রিনল্যান্ড তাদের।
স্বপ্ন দেখা থামানো নয়, ট্রাম্পের আরও উদ্দেশ্য রয়েছে। তিনি সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পানামা খাল পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করতে পারে, যা প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ১৯৭৯ সালে হস্তান্তর করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই পানামার প্রেসিডেন্টও এতে খুশি হননি।
*The market analysis posted here is meant to increase your awareness, but not to give instructions to make a trade.